Contact Information
We Are Available 24/ 7. Call Now.

Reporter Bangla : গুরুতর অসুস্থ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মা। বৃহস্পতিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তারপরই এদিন তাঁকে তড়িঘড়ি একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

মায়ের সাথে সৌরভ গাঙ্গুলী

১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বুকে সমস্যা হয় সৌরভ গাঙ্গুলীর মা নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের। হৃদরোগে আক্রান্ত হন তুহিন এরপরই তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মা চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

সূত্রের খবর অনুযায়ী অবস্থা বুঝে হয়তো নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বুকে স্টেন্ট বসানো হতে পারে। যেহেতু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মায়ের বয়স বেশ অনেকটাই, তাই সেই দিকটা মাথায় রাখছেন চিকিৎসকরা। সব দিক বিবেচনা করেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আপাতত তিনি চিকিৎসকদের নজরদারিতে থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী তথা জনপ্রিয় ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় এদিন এই সময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে তাঁরা বর্তমানে হাসপাতালে আছেন।

মায়ের সাথে সৌরভ গাঙ্গুলী ও স্নেহাশীষ গাঙ্গুলী

প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরেই নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায় নানা বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন। ডায়াবিটিস আছে তাঁর। এমনকি হার্টের সমস্যাও রয়েছে দাদার মায়ের। এছাড়া করোনাকালে দুবার করোনা আক্রান্ত হন তিনি। ২০২১ সালে প্রথমবার তাঁর শরীরে থাবা বসায় করোনা। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। সুস্থ ফিরে আসেন বাড়ি। এরপর আবারও ২০২২ সালের জুলাই মাসে করোনা আক্রান্ত হন তিনি, তখন বেশ বাড়াবাড়ি অবস্থা হয়ে যায় তাঁর। প্রাথমিক ভাবে বাড়িতেই অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হয় তাঁকে। পরে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে তখন। তবে কেবল নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায় নন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০২১ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হন দাদা, তখন তাঁর বুকে তিনটি স্টেন্ট বসানো হয়। দেবী শেঠির হাতে চিকিৎসা চলে তাঁর। সুস্থ হয়ে ওঠেন মহারাজ। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের হার্টে ব্লকেজ দেখা দেয় ২০২১ সালেই। তখন তাঁর বুকেও স্টেন্ট বসানো হয়।

দাদাগিরি ১০ এখন নিয়মিত সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সেখানে তাঁর কথায় মাঝে মধ্যেই তাঁর মায়ের প্রসঙ্গও উঠে আসে।

Share:

administrator

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *